বাংলাদেশিদের জন্য ঘরে বসে থাইল্যান্ড ই-ভিসার জন্য আবেদন করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

 


বাংলাদেশিদের জন্য ঘরে বসে থাইল্যান্ড ই-ভিসার জন্য আবেদন করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? দারুন খবর! এখন আপনি ঘরে বসেই সহজেই থাইল্যান্ড ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। থাইল্যান্ড গত ২ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে। থাইল্যান্ড ই-ভিসা একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা যা ভিসার জন্য আবেদন করা ঝামেলামুক্ত করে। এটি বাংলাদেশী পর্যটক, ব্যবসায়িক পেশাদার এবং চিকিৎসা ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ যারা হাসির দেশ ঘুরে দেখতে চান। দূতাবাসের সারি এড়িয়ে যান এবং আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনায় মনোনিবেশ করুন।

ধাপ ১: অফিসিয়াল ই-ভিসা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করুন


আপনার আবেদন শুরু করতে https://www.thaievisa.go.th দেখুন।

কীভাবে নিবন্ধন করবেন এবং আপনার আবেদন সম্পূর্ণ করবেন


১. একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন:
একটি অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১০টি আবেদন করা যাবে, যা গ্রুপ বা পারিবারিক ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।

২. পাসপোর্ট এবং ছবি আপলোড করুন:
আপনার পাসপোর্টের বায়োডাটা পৃষ্ঠার একটি স্ক্যান করা কপি এবং একটি সাম্প্রতিক ছবি (JPEG, ৩ মেগাবাইটের কম) আপলোড করুন। সঠিকতার জন্য আপনার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ করা পাসপোর্টের তথ্য দুবার পরীক্ষা করুন।

৩. প্রয়োজনীয় নথি জমা দিন:
ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আপনার বর্তমান ঠিকানার প্রমাণের মতো অতিরিক্ত নথি আপলোড করুন। বিশেষ ভিসার জন্য (যেমন, ব্যবসা বা চিকিৎসা), আমন্ত্রণপত্রের মতো প্রাসঙ্গিক নথি অন্তর্ভুক্ত করুন।

৪. ভিসার ধরণ এবং ফি (টাকায়) নির্বাচন করুন:
ট্যুরিস্ট ভিসা (একক প্রবেশ): ৩,৫০০ টাকা+ গেটওয়ে ফি
ট্যুরিস্ট ভিসা (মাল্টিপল প্রবেশ): ১৭,০০০ টাকা+ গেটওয়ে ফি
অন্যান্য ভিসার ধরণ এবং ফিগুলির জন্য ওয়েবসাইটটি দেখুন।
৫. দূতাবাস নির্বাচন করুন:
বাংলাদেশি আবেদনকারীদের আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য ঢাকায় রয়েল থাই (Royal Thai Embassy in Dhaka) দূতাবাস নির্বাচন করতে হবে।

ধাপ ২: পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করুন

আপনার পেমেন্ট তথ্য সারাংশ (PIS) শিট পানঃ আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনি একটি QR কোড এবং একটি রেফারেন্স নম্বর সম্বলিত একটি PIS শিট পাবেন।

পেমেন্ট করুনঃ
কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলনের (Commercial Bank of Ceylon) ওয়েবসাইটে যান। PIS শিটটি আপলোড করুন এবং পেমেন্ট প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করুন। পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে, আপনাকে একটি ই-রসিদ ইমেল করা হবে। ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য এটি সংরক্ষণ করুন।

ধাপ ৩: ভিসা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন


প্রক্রিয়াকরণের সময়ঃ
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস সময় লাগে। দূতাবাস অতিরিক্ত নথিপত্রের জন্য অনুরোধ করতে পারে, তাই বিলম্ব এড়াতে দ্রুত সাড়া দিন।

আপনার ই-ভিসা গ্রহণ করুনঃ
অনুমোদিত ভিসা ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হবে। আপনার ই-ভিসা প্রিন্ট করুন এবং পৌঁছানোর পর থাই ইমিগ্রেশনে উপস্থাপন করুন।

বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য মূল টিপসঃ

১. আপনার অ্যাকাউন্টের বিবরণ সংরক্ষণ করুন: আপনার আবেদনের স্থিতি ট্র্যাক করার জন্য আপনার লগইন শংসাপত্রগুলি নিরাপদে রাখুন।
২. সমস্ত নথি পরীক্ষা করুন: প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করুন এবং সঠিক দূতাবাস নির্বাচন করুন তা নিশ্চিত করুন।
৩. PIS শিট এবং ই-রসিদ রাখুন: পেমেন্ট নিশ্চিতকরণের জন্য এগুলি অপরিহার্য।
৪. আপনার ই-ভিসা প্রিন্ট করুন: ইমিগ্রেশন আপনার ই-ভিসার শুধুমাত্র একটি মুদ্রিত কপি গ্রহণ করবে 

Post a Comment

Previous Post Next Post